ভুয়া সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাককে অনেকেই নাচকর্মের ঝুড়ি আকাশ-সমান বিস্তৃত।
সীমান্তের কালো ব্যবসার মাস্টারমাইন্ড, সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের গডফাদার, নব্য ইয়াবা ম্যাগনেট, মানবপাচার চক্রের অধিপতি, মহেশখালীর কুখ্যাত জলদস্যু, পতিতাদের রাজকুমার, জাল টাকার কারিগর, অস্ত্র ব্যবসার বিশাল সাম্রাজ্যের সম্রাট আবদুর রাজ্জাকের অপকর্মের সূচনা হয় ধর্ষণ থেকে।
আবদুর রাজ্জাক প্রচণ্ড নারীলোভী প্রকৃতির লোক। তিনি একাধারে বিবাহিত, অবিবাহিত এমনকি স্বজনদেরকেও বিভিন্ন কৌশলে ধর্ষণ করতেন। আপোসে রাজি না হলে ব্ল্যাকমেইল করে নিজের উদ্দেশ্য পূরণ করতেন।
পাড়া-প্রতিবেশীসহ বিভিন্ন জায়গায় স্বামী বিদেশে থাকা নারীদের খুঁজে বের করে তাদের শিকারে পরিণত করতেন এই চরিত্রহীন কাপুরুষ আবদুর রাজ্জাক।
যখন ধর্ষণের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়, পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং তিনি জেল খাটেন। ধর্ষণ মামলার সাজা ভোগ করার পর থেকেই সাধারণ মানুষের চোখে তিনি 'ধর্ষক আবদুর রাজ্জাক' নামে পরিচিত হয়ে ওঠেন।
এমনকি, তার বিয়ে করা বর্তমান স্ত্রীকে ‘রক্ষিতা’ বললেও ভুল হবে না। তাদের এখনো পর্যন্ত বৈধ বিয়ে হয়নি; কোনো কাবিননামাও নেই।
হাসিনা নামের ওই নারী অন্য একজনের স্ত্রী ছিলেন। আবদুর রাজ্জাক তাকে অপকর্মে জড়াতে গিয়ে ধরা পড়েন। ধরা পড়ার পর, তাদের জোর করে অবৈধ ও অসামাজিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়।
হাসিনার সঙ্গে তার পূর্বের স্বামীর এখনো পর্যন্ত অফিসিয়ালি (আনুষ্ঠানিকভাবে) বিবাহ বিচ্ছেদ হয়নি।
এরপর তিনি মানুষের গণধোলাই থেকে বাঁচতে আওয়ামী নেতাদের চাটুকারিতা করতে শুরু করেন। আওয়ামী চাটুকার আবদুর রাজ্জাককে আওয়ামী নেতাদের স্বার্থে ‘আওয়ামী মিডিয়া সিন্ডিকেট’-এর একটি শক্তি হিসেবে গড়ে তোলা হয়।
আবদুর রাজ্জাক একজন প্রশিক্ষিত মিথ্যাবাদী, বানোয়াট ও ভুয়া সংবাদ প্রচারকারী, যিনি আওয়ামী নেতাদের অপকর্ম ধামাচাপা দিতে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজ করেছেন।
কিন্তু এখন সে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে গণমাধ্যম এবং তার অবৈধ স্ত্রীকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে শিখে গেছে।
মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন তথ্য নাটকীয়ভাবে সাজিয়ে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে। পাশাপাশি, নিজের সমস্ত অপকর্ম ধামাচাপা দিতেও গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে।
প্রশাসনিক বাধা ঠেকাতে এবং নেতাদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে সে চাঁদার ভাগাভাগি করে, এমনকি অবৈধ স্ত্রী হাসিনাকে তাদের বিছানায় পাঠিয়ে দেন।
যদি কেউ তার এই আবদারে অস্বীকৃতি জানায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে 'সাধু সংবাদকর্মী' সেজে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন ভুয়া সংবাদ তৈরি করে—বিভিন্ন ফেইক নিউজ সাইট এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাদের মানহানির সর্বোচ্চ চেষ্টা চালানো হয়।
তার নেতৃত্বে থাকা এই মিডিয়া সিন্ডিকেটের রয়েছে হাজার হাজার ফেইক একাউন্ট। মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি তৈরি করতে এবং টার্গেটেড ব্যক্তিকে মানহানির পাশাপাশি হয়রানি করতে, মিনিটের মধ্যে বিভ্রান্তিকর তথ্য মহামারী আকারে ছড়িয়ে দেয় সর্বত্র।
ধর্ষক চাঁদাবাজ সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাকের চক্রের প্রত্যেকটি নিউজ ভুয়া, মিথ্যা, বানোয়াট, পরিকল্পিত ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
তার স্ত্রী হাসিনাকে ব্যবহার করে পতিতা ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন এবং ‘পতিতাদের রাজকুমার’ উপাধি অর্জন করেন ধর্ষক আবদুর রাজ্জাক।
বিভিন্ন জায়গা থেকে মেয়েদের এনে পতিতাবৃত্তি করতেন আবদুর রাজ্জাক, নিজে ভোগ করার পাশাপাশি বিভিন্ন স্বার্থে ব্যবহার করতেন এই নারীদের এবং তাদের নিয়ে ব্যবসা করতেন।
এই পতিতা ব্যবসা দেখাশোনা করে তার অবৈধ স্ত্রী হাসিনা।
হঠাৎ করেই জলদস্যু আবদুর রাজ্জাক হয়ে ওঠেন জাল টাকার কারিগর। এটি যেন আলাদিনের গল্পকেও হার মানানোর মতো বাস্তবতা।
জাল টাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন জাতের মাদকদ্রব্য এনে এবং সেগুলো দেশের কালোবাজারে বাজারজাত করে।
এই ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন সীমান্ত পয়েন্টে চুর-ডাকাতদের নিয়ে সন্ত্রাসী গ্যাং গঠন করেন আবদুর রাজ্জাক।
বিশেষ করে বান্দারবনের নাইক্ষণছড়ি উপজেলা ও কক্সবাজারের রামু উপজেলার থিমছড়ি এলাকায় থাকা সন্ত্রাসী গ্যাংগুলো সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।
এই এলাকাগুলোর সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী গুলোকে আবদুর রাজ্জাকের প্রধান সহযোগী দালাল সরওয়ার জাহান নিয়ন্ত্রণ করেন।
মিয়ানমারে সরকার বাহিনীর সঙ্গে আরকানের বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সংঘর্ষের সুবাদে দস্যু আবদুর রাজ্জাক আর্থিকভাবে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে।
আরকানের বিদ্রোহী গোষ্ঠীকে সর্বোচ্চ অস্ত্র সরবরাহ করেন আবদুর রাজ্জাক বাহিনী। সীমান্ত এলাকায় রাজ্জাক বাহিনীর সশস্ত্র গ্যাংয়ের দ্বারা সীমান্ত ফাঁকি দিয়ে অস্ত্রের বিনিময়ে হাজার হাজার গরু নিয়ে আসেন এই জলদস্যু।
গরুর পাশাপাশি ইয়াবা, আইস ও স্বর্ণও নিয়ে আসেন জাল টাকার বিনিময়ে।
এই সব ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য গণমাধ্যমকে শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন ভুয়া সাংবাদিক আবদুর রাজ্জাক।
ব্যবসা পরিচালনার স্বার্থে পয়েন্টে পয়েন্টে বিভিন্ন মানুষ এবং প্রশাসনিক ব্যক্তিদের মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন ভুয়া সংবাদে জড়িয়ে রেখেছেন কালো সাম্রাজ্যের সম্রাট আবদুর রাজ্জাক।
সীমান্ত এলাকায় চুরাইগরু নিয়ে প্রত্যেকটি দুর্ঘটনার পেছনে আবদুর রাজ্জাক ও তার সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী সরাসরি জড়িত।
এই জলদস্যু আবদুর রাজ্জাক ও তার সশস্ত্র বাহিনীর সমস্ত কর্মকাণ্ডে দেশদ্রোহিতার মনোভাব প্রকাশ পায়।
জলদস্যু আবদুর রাজ্জাক ও তার সশস্ত্র বাহিনীকে সনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হোক।
বাংলাদেশ সংবিধানের নিয়ম অনুসারে দেশদ্রোহীতার সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করা হোক।
আবদুর রাজ্জাক ও তার সশস্ত্র বাহিনীর দেশদ্রোহী অপকর্ম ঠেকাতে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন এলাকা ও উপজেলার সচেতন নাগরিক মহল একত্রিত হয়েছে।
জলদস্যু রাজ্জাক ও তার সশস্ত্র বাহিনীকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরে আনার জন্য সচেতন নাগরিক মহল প্রতিবাদী রেলির বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে।
নিউজ ডেস্ক, বুলেটিন টিভি
0 Comments